জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা গত মাসে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এর পর থেকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত কে হতে পারেন, তা নিয়ে গুঞ্জনে মুখর ছিল জাপান। সেই গুঞ্জন শেষ হয়েছে। ফুমিও কিশিদার উত্তরসূরি নির্বাচিত হয়েছেন ইশিবা শিগেরু। পাঁচবারের প্রচেষ্টার পর লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
অতীতে জাপানের প্রধান ক্ষমতাসীন উদার গণতন্ত্রী দল এলডিপির নেতৃত্ব পেছনের দরজার দেনদরবারের মধ্য দিয়ে বেছে নেওয়ার ইতিহাস রয়েছে। তবে একবিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্ন থেকে নিজস্ব একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা দলের নেতৃত্ব ঠিক করে নিয়েছে। এ ব্যবস্থায় দলের সংসদ সদস্যরা ছাড়াও প্রায় ১০ লাখ চাঁদা প্রদানকারী সাধারণ সদস্য দলের নেতা নির্বাচনে ভোট দিতে সক্ষম। তবে এখনো দলীয় সংসদ সদস্যদের প্রাধান্য বজায় রয়েছে। এর কারণ, উভয় পক্ষের ভোটের মূল্যমান সমান হওয়ায় সংসদ সদস্যদের সংখ্যাধিক্যের সমর্থন যে প্রার্থীর প্রতি থাকে, সেই প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি। ফলে উপদলীয় বিভাজনে বিভক্ত এলডিপিতে যে উপদলের সংসদে প্রাধান্য বজায় থাকে, সেই উপদলের নেতা প্রায় সব সময় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে এসেছেন।